আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারিতে শুরু হলো মাসুদুর রহমানের দ্বিতীয় একক চিত্র প্রদর্শনী ‘মহাকালের যাত্রা’। ৬ সেপ্টেম্বর প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং বিশিষ্ট শিল্পী মনিরুল ইসলাম।
একজন শিল্পী হিসেবে মাসুদুর রহমানের যাত্রা এক বিশালতা ও শূন্যতার অন্বেষণে ব্যাপ্ত। তার কাজগুলি রূপ এবং নিরাকারের মধ্যে এক জটিল যোগাযোগ তৈরি করে এবং একটা আশ্চর্য দ্বৈততা উপস্থাপন করে, যা জীবনেরই অন্তর্নিহিত। ‘মহাকালের যাত্রা’র মাধ্যমে মাসুদুর রহমান শিল্পের প্রতি তার মননশীল এবং দার্শনিক পদ্ধতির একটি জানালা উন্মোচিত করেন, যেখানে মহাজাগতিক এবং পার্থিব, বিমূর্ততা এবং মুহূর্তকরণের একটি নিরবচ্ছিন্ন নৃত্য দীপ্যমান।
শিল্পী মাসুদুর রহমান ড্রইং করতে পছন্দ করেন। ড্রয়িং কে তিনি মহাজাগতিক যাত্রা হিসেবে দেখেন, যেখানে লাইনগুলি তার মহাকাশযান হিসেবে কাজ করে। এই দৃষ্টিভঙ্গি তাকে শিল্পের রহস্যময় গভীরতা অন্বেষণে নিয়ে যায়, যাকে সে জীবনের আনন্দের উৎস বলে মনে করে। তিনি তার শিল্পকর্মের মাধ্যমে মহাবিশ্বকে উপলব্ধি করেন, যে মহাবিশ্বের কেন্দ্রীয় চরিত্রে এবং কেন্দ্রবিন্দুতে মানুষকে দেখতে পাওয়া যায়।
মাসুদুর রহমানের ভাষায়, ‘মহাকাল এবং মহাশূন্যতার যে বোধ মানুষের মনে সদা জাগ্রত, সে বোধই তার সৃষ্টি, প্রেম ও জীবনে এক অতল গভীরতা দান করে। মূলত এই অনন্ত শূন্যতাই আমাদের মৌলিক রূপ। আমি সেই শূন্যতার ভেতর থেকে একবার আকারে আরেকবার নিরাকারে রচিত হই বারবার। এই আকার আর নিরাকারের যুগল রূপই জীবন। ঠিক এভাবেই আমার শিল্প রচনা মূর্ততা ও বিমূর্ততায় ব্যাপ্ত অভিব্যক্তি।’
মাসুদুর রহমানের জন্ম বরিশালে। বর্তমানে ঢাকায় বসবাসরত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে তিনি অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন।
‘মহাকালের যাত্রা’ প্রদর্শনীটি চলবে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত, রবিবার সাপ্তাহিক বন্ধ। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত।
কার্টেসিঃ ঢাকা ট্রিবিউন