তবে পশ্চিমবঙ্গের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী গতকাল সোমবার জানিয়েছেন, ট্রামের কারণে কলকাতায় জ্যামের সৃষ্টি হয়। কারণ এটি যোগাযোগের অন্যান্য বাহনের তুলনায় অনেকটাই ধীরগতির। এজন্য এটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তবে কলকাতায় বেড়াতে আসা মানুষরা যেন ট্রাম দেখতে পারেন এবং ভ্রমণ করতে পারেন সেজন্য ময়দান থেকে এসপ্লান্ডে পর্যন্ত ট্রাম চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পরিবহনমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর কলকাতার ট্রাম প্রেমীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন, তারা বলেছেন, ট্রামকে আধুনিকায়ন না করে কেন এটি বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তাদের ভাষ্য, পুরো ভারতে শুধুমাত্র কলকাতায় ট্রাম রয়েছে। তাই এই ঐতিহ্য রক্ষা করতে হবে।
ট্রাম নিয়ে কলকাতার হাইকোর্টে একটি রিট চলছে। গত বছরের ডিসেম্বরে আদালত নির্দেশ দেন কলকাতায় ট্রাম বন্ধ করা যাবে না। এটি সংস্কার করে চালু রাখতে হবে।
আদালতে চলা এই রিটের নতুন শুনানিতে ট্রাফিক জ্যামের বিষয় এবং একটি রুটে ট্রাম চলাচল চালু রাখার বিষয়টি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী।
তিনি আরও জানিয়েছেন, কলকাতার শহরটি যত জায়গা নিয়ে তৈরি হয়েছে সেটির মাত্র ৬ শতাংশ হলো রাস্তা। যা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় প্রভাব ফেলেছে। তা সত্ত্বেও মানুষ যেন ঠিক সময়ে অফিসে-কাজে যেতে পারেন সেজন্য ট্রাফিক পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। কিন্তু ট্রামের কারণে তাদের এ প্রচেষ্টা ব্যহত হচ্ছে।
কলকাতার ট্রামের পরিধি আগেই কমে এসেছে। এক সময়ের জনপ্রিয় এ বাহনটি এখন ধুঁকে ধুঁকে চলছে। সাম্প্রতিক সময়ে তিনটি রুটে ট্রাম চলাচল অব্যাহত ছিল। যদি সরকারি সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় তাহলে শুধুমাত্র একটি রুটেই দেখা যাবে এ বাহনটিকে।