কাথলিক মণ্ডলীতে এ বছর প্রভু যীশু খ্রিষ্টের জন্মের দুই হাজার পঁচিশ বছরের জুবিলী উৎসব পালন করছে। পুণ্যপিতা পোপ ফ্রান্সিস ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে ভাতিকানের সেন্ট পিটারর্স ব্যাসিলিকায় জুবিলী বর্ষের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ বছরের প্রতিপাদ্যের বিষয় ‘আশার তীর্থযাত্রী’।
মূলসুরের আলোকে আজ ৮ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রি. সকাল ১০টায় ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের রমনা ক্যাথেড্রালে জুবিলী বর্ষের উদ্বোধন ঘোষণা করে লগো উন্মোচন করা হয়েছে এবং এরপূর্বে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও পতাকা উত্তোলন, বেলুন উড়ানোর মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
জুবিলী বর্ষের উদ্বোধনীতে পবিত্র খ্রিষ্টযাগ অনুষ্ঠিত হয়। পবিত্র খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করেন পরম শ্রদ্ধেয় আর্চবিশপ বিজয় এন. ডি’ক্রজ ও.এম.আই, পুণ্যবেদীতে সহায়তা করেন শ্রদ্ধেয় কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও সিএসসি ও সহকারী বিশপ সুব্রত বনিফাস গমেজ, শ্রদ্ধেয় বিশপ থিওটোনিয়াস গমেজ সিএসসি ও প্রায় পঞ্চাশ জন যাজক। পবিত্র খ্রিষ্টযাগের পূর্বে ফাদার স্ট্যানলী কস্তা জুবিলী বর্ষের তাৎপর্য তুলে ধরে অত্যন্ত সুন্দরভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
এ সময়ে ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের প্রতিটি ধর্মপল্লীর হতে আগত খ্রিষ্টভক্ত, ব্রাদার, সিস্টারসহ দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ-এর সেক্রেটারি মি. ইমানুয়েল বাপ্পী মন্ডল উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের তিনটি ধর্মপল্লী যথাক্রমে ঢাকা শহরে রমনা ক্যাথেড্রাল, ভাওয়াল অঞ্চলে পানজোরা সাধু আন্তনী গির্জা ও আঠারগ্রামের হাসনাবাদ গির্জাকে তীর্থস্থান হিসাবে ঘোষণা করা হয় এবং পুরো বছরে খ্রিষ্টভক্তরা যেন তীর্থযাত্রী হয়ে ক্ষমা লাভ করতে পারেন এ জন্যে ঘোষণা প্রদান করা হয়।