ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
হাউজিং সোসাইটি লিঃ-এর ৩৭তম বার্ষিক সাধারণ সভার বিজ্ঞপ্তি ওস্তাদ জাকির হোসেন আর নেই মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা ​​​​​​​মুজিবনগর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির বিশেষ সাধারণ সভা ও প্রাক-বড়দিন-২০২৪ অনুষ্ঠিত ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা ১০ এপ্রিল থেকে, রুটিন প্রকাশ ​​​​​​​হাউজিং সোসাইটির তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা সভা-২০২৪ অনুষ্ঠিত বিশপীয় ন্যায় ও শান্তি কমিশন আয়োজিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস-২০২৪ অনুষ্ঠিত জয়পুরে অমলোদ্ভবা ধন্যা কুমারী মারীয়ার তীর্থ উৎসব-২০২৪ অনুষ্ঠিত মি. আগষ্টিন পিউরীফিকেশনের বিজনেস ডাইজেস্ট এক্সিলেন্ট অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ অর্জন ভারতকে হারিয়ে আবারও এশিয়ার সেরা বাংলাদেশের যুবারা ​​​​​​​নদ্দায় অনুষ্ঠিত হলো হাউজিং সোসাইটির শিক্ষা সেমিনার ও মতবিনিময় সভা হাউজিং সোসাইটির "নীড় ছাত্রী হোস্টেল" -এর শুভ উদ্বোধন ও আশীর্বাদ অনুষ্ঠিত নবম-দশম শ্রেণির বইতে ৭ গদ্য, ৪ কবিতা বাদ, যুক্ত হচ্ছে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা হাউজিং সোসাইটির মঠবাড়ী ধর্মপল্লীতে নতুন সেবাকেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন ও আশীর্বাদ অনুষ্ঠিত ঢাকা ক্রেডিটের মেগা প্রকল্প ‘ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল লি:’ -এর শুভ উদ্বোধন ও ৬৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করলো নীড় সংবাদ ঐতিহ্যবাহী সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে দু‍র্বৃ‍ত্তদের হামলা মোহাম্মদপুর খ্রীষ্টান বহুমুখী সমবায় সমিতি লি: এর ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত এই মৌসুমে যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে মনিপুরীপাড়ায় হাউজিং সোসাইটির শিক্ষা সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ক্রেডিট ইউনিয়নের ইতিবাচক দিক

  • আপলোড সময় : ২২-০৯-২০২৪ ১২:১৫:৪৯ পূর্বাহ্ন
ক্রেডিট ইউনিয়নের ইতিবাচক দিক ক্রেডিট ইউনিয়নের ইতিবাচক দিক


দারিদ্র্য বিমোচনের কার্যকর পদ্ধতি ক্রেডিট ইউনিয়নের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ১৮৫২ সালে ফ্রেডরিক উইহেলম রাফাইসেনের উদ্যোগে জার্মানিতে দরিদ্র কৃষকদের নিয়ে প্রথম ক্রেডিট ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে আলফন্স ডেজার্ডিন্স, হারম্যান শুলজ, উইহেলম হাস ক্রেডিট ইউনিয়ন আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যান, যা আজ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। 

বিশ্বের ৬ মহাদেশের ১১৮ দেশে ৮৬ হাজার ৪৫১টি ক্রেডিট ইউনিয়নের কার্যক্রম রয়েছে। আমেরিকান ধর্মযাজক ফাদার চার্লস জে. ইয়াং এর অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিরলস প্রচেষ্টায় ১৯৫৫ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা আজকের বাংলাদেশে ক্রেডিট ইউনিয়নের সূচনা হয়।

বাংলাদেশে ক্রেডিট ইউনিয়ন আন্দোলনের ইতিহাস পাঠে জানা যায়, বাংলাদেশে ক্রেডিট ইউনিয়ন কার্যক্রমের সূচনার প্রাক্কালে ভারতের কলকাতায় ক্রেডিট ইউনিয়নের কার্যক্রম খুব ভালো চলছিল। কিন্তু যথাযথ উদ্যোগ, দক্ষ কর্মী ও শিক্ষিত লোকের অভাবে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সমবায় ও ক্রেডিট ইউনিয়ন কর্ম প্রচেষ্টা নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। এই সময়ে বাংলাদেশে ক্রেডিট ইউনিয়নের অগ্রদূত ও জনক ফাদার চার্লস জে. ইয়াং সিএসসি ময়মনসিংহের মরিয়ম নগর ধর্মপলস্নীতে কর্মরত ছিলেন। তখন ঢাকার মহামান্য আর্চবিশপ লরেন্স লিও গ্রেনার ফাদার ইয়াং কে বাংলাদেশে ক্রেডিট ইউনিয়ন আন্দোলন চালু করার জন্য ১৯৫৩ সালে ট্রেনিং গ্রহণের জন্য কানাডার কোডি ইন্সস্টিটিউটে পাঠান। দেশে ফিরে এসে তিনি কয়েক বছর 'সোশ্যাল অ্যাকশন কনফারেন্স'-এর ব্যানারে শিক্ষিত বাঙালি খ্রিষ্টানদের সমবায় ও ক্রেডিট ইউনিয়ন বিষয়ে অনুপ্রাণিতও উৎসাহিত করেন এবং তার অভিজ্ঞতার আলোকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখেন। এরপর তিনি লক্ষ্ণীবাজার ধর্মপলস্নীর দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় ফিরে আসেন। ১৯৫৫ সালে তিনি লক্ষ্ণীবাজারের কয়েকজন শিক্ষিত নারী-পুরুষ নিয়ে বর্তমান 'দি খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি.' প্রতিষ্ঠা করেন। মি. বার্নাড ম্যাকার্থীকে সভাপতি করে ৪৬ জন ব্যক্তির সমাবেশে ১৯৫৫ সালের ৩ জুলাই প্রথম সভা হয়। ১৯৪০ সালের বঙ্গীয় সমবায় সমিতি আইনের আওতায় এই ক্রেডিট ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করা হয়। ১৯৫৮ সালে রেজিস্ট্রেশন গ্রহণের মাধ্যমে দি খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি. আইনি স্বীকৃতি লাভ করে।

লগো । ঢাকা ক্রেডিট

বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ঢাকা শহরের উপরে অভিবাসীদের চাপ ক্রমবর্ধমান হারে বাড়তে থাকে এবং ভাড়া বাড়ি পাওয়াও কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। এ সময়ে জীবন ও জীবিকার তাগিদে অনেকেই গ্রাম থেকে রাজধানী ঢাকায় আসতে থাকেন। ফলে খ্রিষ্টান অনেক পরিবারেরই আবাসন সমস্যায় পতিত হয়। এ সমস্যা হতে উত্তোরণের জন্যে খ্রিষ্টান সমাজের কয়েকজন নেতা প্রচেষ্টা চালান একটি হাউজিং সোসাইটি গঠন করার। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের সম্মিলিত প্রয়াসে ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ এপ্রিল, পহেলা বৈশাখের দিনে দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরবর্তীতে ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দের ৬ জুন সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধন লাভ করে। প্রতিষ্ঠানের গঠন প্রক্রিয়ায় পথিকৃৎ হিসেবে ছিলেন স্বর্গীয় ডানিয়েল কোড়াইয়া, স্বর্গীয় আলেকজান্ডার রোজারিও সহ ২৭ জন সমবায়ী ব্যক্তিবর্গ। খ্রিষ্টন্ডলীর পক্ষ থেকে তৎকালীন সময়ে ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের পরম শ্রদ্ধেয় প্রয়াত আর্চবিশপ মাইকেল রোজারিও’র অবদান ছিল অনস্বীকার্য। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ভুক্ত সদস্যদের উদ্দেশ্যে বাসোপযোগী পরিবেশে বিক্রয়যোগ্য জমি/ফ্ল্যাট/গৃহনির্মাণ করে সোসাইটির পরিকল্পনা অনুসারে সংশ্লিষ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনকৃত বাসস্থান প্রস্তুত করে সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করার লক্ষ্যে আমরা গৃহ সমস্যা সমাধানে অঙ্গীকারাবদ্ধ মূল শ্লোগান নিয়ে পথচলা শুরু হয় হাউজিং সোসাইটির।



অব্যাহত থাকে ক্রেডিট ইউনিয়নের অভিযাত্রা। ফাদার চার্লস জে. ইয়াং-এর তত্ত্বাবধান পরামর্শ ও সহযোগিতায় প্রথমে ঢাকা, গাজীপুর ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার খ্রিষ্টান অধ্যুষিত এলাকায় আরও কিছু ক্রেডিট ইউনিয়ন গড়ে ওঠে। পরে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী ও দেশের অন্য এলাকায় ক্রেডিট ইউনিয়ন আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। তৎপরবর্তীতে দেশের ক্রেডিট ইউনিয়নগুলোর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি, নতুন নতুন ক্রেডিট ইউনিয়ন গঠন, নিষ্ক্রিয় ক্রেডিট ইউনিয়নগুলো চালুকরণ, সারাদেশে ক্রেডিট ইউনিয়ন আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া, ক্রেডিট ইউনিয়নের বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা সর্বোপরি ক্রেডিট ইউনিয়নগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করার জন্য একটি জাতীয়পর্যায়ের শক্তিশালী ফেডারেশন গড়ে তোলার লক্ষ্যে ফাদার চার্লস যে. ইয়াং-এর পৃষ্ঠপোষকতা, পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ লি. (কালব) গঠিত হয়।



অতঃপর ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে ফাদার চার্লস জে ইয়ং সিএসসি সমবায় অঙ্গনের প্রথম সারির কতিপয় নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় বাংলাদেশের ক্রেডিট ইউনিয়নসমূহের সমন্বয়ে গঠিত কেন্দ্রীয় সমিতি হিসেবে দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ লিঃ (কাল্ব) প্রতিষ্ঠা করেন। কাল্ব প্রতিষ্ঠার সময়ে ফাদার চার্লস জে ইয়ং এর সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন প্রয়াত নাইট ভিনসেন্ট রড্রিক্স, মি. দীনবন্ধু বাড়ৈ, মি. চিত্তরঞ্জন হাওলাদার, মি. ডানিয়েল কোড়াইয়া (যিনি কাল্্ব-এর প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন), মি. আলেকজান্ডার রোজারিওসহ আরও অনেকে।

বাংলাদেশের সমবায়ের বাতিঘরখ্যাত দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অফ বাংলাদেশ লি. (কালব) একান্তই খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এবং ফাদার ইয়াং-এর ব্রেন চাইল্ড। সারা দেশে গড়ে ওঠা বিশেষ ধারার সমবায় কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নগুলোর সমন্বয় ও তদারকির জন্য ফাদার ইয়াং কালব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৯৭৯ সালের ১৪ জানুয়ারি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ১১টি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত হয় ক্রেডিট ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ (কালব)। কালবের প্রতিষ্ঠাতা ১১টি সমবায় সমিতি হচ্ছে দি খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি. ঢাকা। মাউছাইদ খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন, রাঙ্গামাটিয়া খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন, তুমিলিয়া খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি., মঠবাড়ী খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন, তুইতাল খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি., ধরেন্ডা খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি., হাসনাবাদ খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি., শুলপুর খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি. এবং গোলস্না খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি.।

দেশে ক্রেডিট ইউনিয়নের বিকাশের স্বার্থে কালবের সদস্য পদ পরে সব সম্প্রদায়ের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। বর্তমানে সারা দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রায় ১০০ কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন কাল্‌বের সদস্য। এখনো কালব পরিচালনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায় মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। তবে সদস্য সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বর্তমানে মুসলিম সম্প্রদায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। আবার বৌদ্ধ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক ক্রেডিট ইউনিয়ন কালব গঠন ও পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পিছিয়ে নেই গাঢ়, চাকমা, মারমা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীও। এসব ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীও কালবের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে ক্রেডিট ইউনিয়ন আন্দোলন বিকাশে অসাধারণ ভূমিকা পালন করছে।

কালব এখন বিশাল মহীরুহে পরিণত হয়েছে। ঢাকার শাহাজাদপুরের কালবের নিজস্ব ভবন থেকে অনেক আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রায় সারা দেশে কালবের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। রিসোর্ট, এগ্রো প্রজেক্টসহ নানা উৎপাদনমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যা দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কালবের প্রতিনিধিরা বর্তমানে এশিয়া মহাদেশের ক্রেডিট ইউনিয়নের আঞ্চলিক ফেডারেশন আকুর নেতৃত্ব দিচ্ছে। তা ছাড়া বৈশ্বিক ক্রেডিট ইউনিয়ন সংস্থাতেও প্রতিনিধিত্ব করছে।

এদিকে বাংলাদেশে ক্রেডিট ইউনিয়ন আন্দোলন সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অসামান্য ভূমিকা পালন করছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, বাংলাদেশের ৫৮টি জেলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ১৩৮টি ক্রেডিট ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ওই ক্রেডিট ইউনিয়নসমূহের মোট সদস্য প্রায় ৭৫০,০০০ জন। মোট শেয়ার ও সঞ্চয় ৫০১,০০০,০০০ ডলার। মোট সম্পদ ৫২০,০০০,০০০ ডলার।

উলেস্নখ্য, ক্রেডিট ইউনিয়ন হচ্ছে সমবায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান। অন্যকথায় বিশেষায়িত সমবায় সমিতি। যার পূর্ণ নাম কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে দারিদ্র্যবিমোচন, বৈষম্য হ্রাস, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ক্রেডিট ইউনিয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সদস্যরাই ক্রেডিট ইউনিয়নের মালিক আবার তারাই পরিচালক। সদস্যরা এখানে নিয়মিত সঞ্চয় করে আবার নিজ প্রয়োজনে সহজশর্তে স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে থাকে। তৃতীয় কোনো ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের এখানে শোষণ করার সুযোগ নেই। ক্রেডিট ইউনিয়ন গণমানুষের প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরনির্ভরতা পরিহার করে নিজেকে নিজে সাহায্য করা এবং নিজেই নিজেকে পরিচালনা করার শিক্ষা দিয়ে থাকে। গণমানুষের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্রেডিট ইউনিয়ন আরও বিকশিত হোক-এটাই দিবসের প্রত্যাশা।



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Admin

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ
হাউজিং সোসাইটি লিঃ-এর ৩৭তম বার্ষিক সাধারণ সভার বিজ্ঞপ্তি

হাউজিং সোসাইটি লিঃ-এর ৩৭তম বার্ষিক সাধারণ সভার বিজ্ঞপ্তি