সেঞ্চুরিটা করতে পারলেন না মেহেদী হাসান মিরাজ। লড়াকু ইনিংস খেলে ৭৮ রানে থেমে যেতে হলো ডানহাতি এই ব্যাটারকে। খুররম শেহজাদকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি।
এটি টেস্ট ক্যারিয়ারে মিরাজের অষ্টম ফিফটি। মিরাজের আউটের সঙ্গে ভেঙে গেছে ১৬৫ রানের অসাধারণ জুটি। লিটন দাসের সঙ্গে বাংলাদেশের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ জুটিটি করেছিলেন মিরাজ।
১২ চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা হাঁকান এই ডানহাতি। মিরাজের পর আউট হয়ে যান তাসকিন আহমেদও। ১ রান করতেই খুররমের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। এই ইনিংসে এটি ডানহাতি পাকিস্তানি পেসারের ষষ্ঠ উইকেট।
৫৩.৩ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৯৩ রান করে দ্বিতীয় সেশন শেষ করেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তান থেকে এখনো ৮১ রানে পিছিয়ে আছে শান্তর দল। ৮৩ রানে অপরাজিত আছেন লিটন।।
আজ রোববার রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুতে তালগোল পাকিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। পাকিস্তানি পেসারদের বল যেন চোখেই দেখছিলেন না বাংলাদেশের ব্যাটাররা। বিনা উইকেটে ১০ রান নিয়ে খেলা শুরু বাংলাদেশ ২৬ রান করতেই হারায় ৬ উইকেট।
শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। প্রথমে উইকেট বিলিয়ে দেন ওপেনার জাকির হাসান। খুররম শেহজাদের বলে আরবার আহমেদের হাতে ক্যাচ হওয়ার আগে মাত্র ১ রান করেন তিনি।
এক ওভার পর সাজঘরের পথে হাঁটেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামও। খুররমের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৩ বলে ১০ রান করেন তিনি। এরপর উইকেট বিলিয়ে দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। ওই ওভারেই শান্তকে (৬ বলে ৪) বোল্ড করেন খুররম।
পরের ওভারে সাজঘরের পথ ধরেন মুুমিনুল হক। মীর হামজার বলে মোহাম্মদ আলির হাতে ক্যাচ হন তিনি। ২ বলে ১ রান করেন মুমিনুল।
হুড়মুড় করে ভেঙে পড়া বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপকে স্থির করতে পারলেন না মুশফিকুর রহিমও। মিস্টার ডিপেন্ডেবল হিসেবে খ্যাত মুশফিক আজ ফিরে যান দ্রুতই।
মীর হামজার বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হওয়ার আগে ৯ বলে মাত্র ৩ রান করেন তিনি।
হাল ধরতে পারেননি সাকিব আল হাসানও। ১০ বলে ২ রান করে খুররমের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের বিদায়ে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এর আগে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানকে ২৭৪ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ।