এই পৃথিবীতে যারা খ্রিষ্টীয় মূল্যবোধকে ধারণ করে আদর্শিক জীবন যাপন করেছেন তারাই আজ ঈশ্বরের অনুগ্রহে মহান সাধু-সাধ্বী হয়ে উঠেছেন। আমরা তাদেরকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।
মন্ডলীতে পালনীয় কিছু সাধু স্বাধ্বীর জন্য নির্দিষ্ট দিন থাকলেও অনেক সাধুর জন্য তা নেই। মন্ডলী শুধুমাত্র কিছু সংখ্যক মানুষকে এই মর্যাদায় ভূষিত করেছেন, আমাদের জানার বা জ্ঞানের বাইরেও অনেক মানুষ আছেন যারা যিশুখ্রিস্টের জন্য আদর্শিক জীবন যাপন করেছেন এবং স্বর্গে ঈশ্বরের শ্রীমুখ দর্শন করছেন।যারা স্বর্গে আছেন বা থাকেন তারা প্রত্যেকেই সাধু সাধ্বী।
আমাদের প্রিয়জন বা পূর্বপুরুষ যারা স্বর্গে আছেন তারাও প্রত্যেকেই সাধু সাধ্বী। আজকের দিন টা হচ্ছে তাদের জন্য। আজকের এই দিনে আমরা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেই সেই সমস্ত নাম জানা এবং না জানা সাধুদের (তাদের মধ্যে আমাদের অনেকের অনেক প্রিয় জনও আছেন) জন্য তারা আমাদের সামনে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে অমর হয়ে আছেন। একইসঙ্গে এই সমুদয় সাধুদের মধ্যস্থতায় ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যেন আমরাও তাদের দৃষ্টান্ত অনুকরণ করে যীশুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে একদিন স্বর্গের সেই গৌরব ও মহিমার শিরোভূষণে ভূষিত হতে পারি।
সাধু সাথীগণ আমাদের কাছে আদর্শ কারণ
১. ঈশ্বরে বিশ্বাস নিয়ে তারা অনুকরণীয় জীবন আদর্শ রেখে গেছেন
২. স্বর্গে উনারা আমাদের জন্য আমাদের হয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন
৩. ঈশ্বর উনাদের মধ্যস্থতায় নানা আশ্চর্য কাজ সাধন করেন
একজন সাধ্বী ছোটবেলায় প্রার্থনা করতেন আর বলতেন আমি সাধ্বী হতে চাই এবং খুব শীঘ্রই সাধ্বী হতে চাই, আর সত্যিই তিনি তার জীবন আদর্শ দিয়ে মন্ডলীতে সাধ্বী হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছেন।
সাধু বা সাধ্বী হওয়ার জন্য আহামরি কিছু করতে হয় না। ভালোবাসা ও আন্তরিকতা নিয়ে ছোট ছোট কাজ করার মধ্য দিয়ে আমরা মহান সম্মান অর্জন করতে পারি। সাধ্বী জিতা একজন গৃহপরিচারিকা হয়েও সাধ্বী হয়েছেন। সাধু সাধ্বী হওয়ার দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত। বয়সে ছোট বা বড়, পুরুষ বা মহিলা, ধনী বা গরীব, সাদা বা কালো সবাই ঈশ্বরের অনুগ্রহে ও নিজেদের জীবন দক্ষতায় সাধু হতে পারেন।
সাধু আগস্টিন বলতেন, অমুক তমুক সাধু হতে পারলে আমি কেন হতে পারব না? তাই
যীশু বলেন, তোমাদের পরমপিতা যেমন পবিত্র তোমরাও তেমনি পবিত্র হও। সাধু হওয়ার মানে হল পবিত্র হওয়া। পবিত্র হতে আমরা প্রত্যেকেই আহুত, আহুত সাধু সাধ্বী হতে।
সৌজন্যে : রেডিও ভেরিতাস এশিয়া ওয়েব নিউজ