ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম :
সোসাইটির সদ্য প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের স্মরণে পবিত্র খ্রিষ্টযাগ ও স্মৃতিচারণ সভা অনুষ্ঠিত সোসাইটির স্টাফদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত প্রয়াত শ্রদ্ধেয় যো‌সেফ মধু (স্যার) প্রয়া‌ণের আজ চ‌ল্লিশ দি‌নের স্মরণানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত আলোচনা ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ : ট্রাম্প, ‘মূল কারণগুলো’ নির্মূল করতে হবে : পুতিন গির্জায় সিদ্ধার্থ-জাহ্নবীর রোমান্স, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ নানা আয়োজনে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত হয়েছে হাউজিং সোসাইটিকে জ‌ড়িয়ে সাবেক চেয়ারম্যান আগ‌ষ্টিন পিউরী‌ফি‌কেশনের নামে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের বিরু‌দ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে সোসাইটির বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটি শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালে অবতরণ করল প্রথম বিমান একাদশ শ্রেণিতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ ভাটারা ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী মিডিয়া সেমিনার। ​​​​​​​মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ কাথলিক মণ্ডলীর শোক উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলের একটি ভবনে বিমান বিধ্বস্ত : দগ্ধদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী কাককো লিঃ-এর নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত না ফেরার দেশে চলে গেলেন যোসেফ মধু না ফেরার দেশে ​​​​​​​চলে গেলেন “শা‌ন্তির নীড়” গেস্ট হাউজের কর্মী সাধন চিরাণ  আজ ৫ জুলাই পালিত হয়েছে ১০৩তম আন্তর্জাতিক সমবায় দিবস।  ঢাকা ক্রেডিটের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন ৪৮তম বিসিএস পরীক্ষা ১৮ জুলাই, প্রশ্ন থাকবে মেডিকেল সায়েন্স ও সাধারণ বিষয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলের আসন্ন বাংলাদেশ সফরে সায় নেই দিল্লির 'যীশুর সাথে জীবন আরও সুন্দর হয়' : "দ্য চুজেন"-এর তারকা রুমি

জাপানের টোকিওতে এশিয়া মহাদেশের সিগনিস সদস্যভুক্ত সদস্যদের বার্ষিক সমাবেশ

  • আপলোড সময় : ০২-১০-২০২৪ ১১:০২:০৮ পূর্বাহ্ন
জাপানের টোকিওতে এশিয়া মহাদেশের সিগনিস সদস্যভুক্ত সদস্যদের বার্ষিক সমাবেশ জাপানের টোকিওতে এশিয়া মহাদেশের সিগনিস সদস্যভুক্ত সদস্যদের বার্ষিক সমাবেশ

গত ২৩ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, জাপানের রাজধানী টোকিও শহরে ন্যাশনাল অলিম্পিক মেমোরিয়াল ইযুথ সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় এশিয়া মহাদেশের সিগনিস সদস্যভুক্ত সদস্যদের নিয়ে বার্ষিক সমাবেশ।


এই বছর সিগনিস এশিয়া সমাবেশের মূলসুর ছিল “শান্তির সংস্কৃতি  গঠনের জন্য ডিজিটাল বিশ্বে মানব যোগাযোগ”। এতে এশিয়া মহাদেশের ১২টি দেশের প্রায় ৭০জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।


সমাবেশে বিভিন্ন বক্ততাদের আলোচনার মধ্যদিয়ে শান্তির সংস্কৃতি তৈরীতে ডিজিটাল মিডিয়া পরিচালনা করার ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল, নৈতিক এবং সতর্ক হওয়ার বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়।


যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে সম্প্রীতি ও এক শান্তিময় বিশ্ব গঠনের সভায় আরো জুড়ালোভাবে আহ্বান করা হয়। একই সাথে ডিজিটাল যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের মধ্য দিয়ে মানব সংযোগের শক্তির মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সম্মিলিতভাবে অবদান রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়।


ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহারে মানুষ যেন আসক্ত হয়ে না পরে এবং মানুষ থেকে মানুষকে বিচ্ছিন্ন না করে সেই দিকে খেয়াল রাখার জন্য সর্তক্য থাকতে বলা হয়। সেই সাথে বাস্তবতার সাথে সংগতি রেখে আন্তঃব্যক্তিক সম্পকর্কে বিকাশিত করার সুযোগ সৃষ্টি করার পরামর্শ দেওয়া হয়। মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে এবং শান্তির সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য যোগাযোগের উপর আরও বেশি মনোযোগ দেওয়র জন্য একটি পদক্ষেপের আহ্বান জানায়।


জেজুইট ফাদার অরুণ তার সহভাগিতায় বলেন, “ডিজিটাল বিপ্লব মানব জীবনকে আমূল পরিবর্তন করছে। আজকের বিশ্বে, ডিজিটাল প্রযুক্তির আবির্ভাবে মানুষের যোগাযোগ গভীরভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে যা আমাদেরকে পরিবর্তনশীল সময়ের সাথে পরিবর্তনের আহ্বান জানায়।”


দক্ষিণ কোরিয়ার বিশপ লিও, পোপ ফ্রান্সিসের উদ্ধৃত্তি দিয়ে বলেন, “যোগাযোগ প্রত্যেক মানুষের মধ্যে একটি গভীর সংবেদনশীলতা জাগ্রত করে। যেখানে অন্যের আনন্দ এবং যন্ত্রণাগুলি আমাদের নিজস্ব হয়ে ওঠে। কারণ, আমরা সকলে একই বিশ্বপল্লীর মানুষ। তবুও অনেকক্ষেত্রে আমরা এক হতে পারছি না। পোপ ফ্রান্সিস যাকে “উদাসীনতার বিশ্বায়ন” বলে অভিহিত করেছেন। সেটিকে অবশ্যই মোকাবেলা করতে হবে এবং ‘ভ্রাতৃত্বের দায়িত্ব’ পালন করতে হবে।”


“আমাদের বর্তমান এবং আগামী দিনের বিশ্বে ডিজিটাল যুগের অবিশ্বাস্য সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সাহায্য করতে হবে। সেই সাথে এই পৃথিবীতে ঈশ্বরের রাজ্য এবং তাঁর ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় হৃদয়ের প্রজ্ঞা দিয়ে অবদান রাখতে চেষ্ঠা করতে হবে”, বলেন বিশপ লিও।

পোপ ফ্রান্সিস কৃত্রিম বুদ্ধিমুত্তার (এআই) যুগে “সম্পূর্ণরূপে মানবিক যোগাযোগ অর্জনের জন্য মানুষের হৃদয় থেকে কাজ শুরু করে নিজেদের মধ্যে প্রজ্ঞা গড়ে তোলার আহ্বান জানান।”


তিনি আরো বলেন, “যখন আমরা আমাদের সময়কে বুদ্ধিমানের মত ব্যবহার করি এবং আমাদের দুর্বলতাকে আলিঙ্গন করি” তখনই সেই প্রজ্ঞা, জীবনে ‘স্বাদ’ যোগ করে এবং আমরা হয়ে উঠি পরিপক্ক মানুষ।”


আমরা আমাদের জীবনে আধ্যাত্মিক, নৈতিক, শিক্ষাগত এবং সামাজিক জীবনে নতুন প্রযুক্তিকে একীভূত করার প্রয়োজনীয়তা হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে হবে। কেননা, মানুষের আবেগ ও আধ্যাত্মিকতার অনুশীলন একে অপরের সাথে সংযোগ স্থাপনের ক্ষমতা বিশ্বে শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।


বর্তমান জগতে শান্তির সংস্কৃতি গঠনের জন্য ডিজিটাল বিশ্বে মানব যোগাযোগ সময়ের দাবি। তাই, শান্তি স্থাপনের প্রক্রিয়ায় বর্তমান তরুণ সমাজের সাথে কাজ করার চেতনা আমাদের অন্তরে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে।
 

রিপোর্টার : ফাদার বাবলু কোড়াইয়া
সৌজন্যে : বরেন্দ্রদূত


: Admin

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ
সোসাইটির সদ্য প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের স্মরণে পবিত্র খ্রিষ্টযাগ ও স্মৃতিচারণ সভা অনুষ্ঠিত

সোসাইটির সদ্য প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের স্মরণে পবিত্র খ্রিষ্টযাগ ও স্মৃতিচারণ সভা অনুষ্ঠিত