ওভালে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কার ওপর ঝড় তুলছিলেন স্বাগতিক ইংল্যান্ডের ওলি পোপ ও বেন ডাকেটরা। তবে এরপর সেই বোলারদের কাছে ইংলিশরা নাকানিচুবানি খেয়েছে। ৬৪ রানের ব্যবধানেই হারিয়েছে শেষ সাত উইকেট। তবে পোপের ১৫৪ এবং ডাকেটের ৮৬ রানের সুবাদে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৩২৫ রান। এরপর বিপর্যয়ে লঙ্কানরাও পড়ে। জোড়া ফিফটিতে সেটি সামলেছেন অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস।
লন্ডনের দ্য ওভালে তৃতীয় টেস্টে প্রায়দিনই ঝামেলা বাধাচ্ছে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। যার কারণে নির্ধারিত ওভারের অনেকাংশ বাকি থাকতেই দিনের খেলা শেষ করতে হয়। প্রথম দিনের ৪৪ ওভারের পর গতকাল (শনিবার) হয়েছে ৭৫ ওভারের মতো। দ্বিতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২১১ রান। সফরকারীরা পিছিয়ে আছে ১১৪ রানে, হাফসেঞ্চুরি তুলে নেওয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু অপরাজিত রয়েছেন। লঙ্কানদের জন্য এটি হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াই, আগের দুই ম্যাচ হেরে তারা সিরিজ খুইয়েছে।
প্রথম ইনিংসের শেষদিকে ইংলিশদের দ্রুত গুঁড়িয়ে দিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলঙ্কা। ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা জবাবটাও দিচ্ছিলেন ঠিকঠাক। আরেক ওপেনার দিমুথ করুণারত্নেকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম ৬ ওভারে তারা ৩৪ রান তোলে। এরপরই অবশ্য হোঁচট, ক্রিস ওকসের বলে শর্ট ফিল্ডারের হাতে বল দিয়ে অযথা রানের ঝুঁকি নিতে গিয়ে সরাসরি থ্রোয়ে রানআউট করুণারত্নে (৯)। কুশল মেন্ডিস (১৪) ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসও (৩) ফেরেন স্বল্প সময়ের ব্যবধানে।
একপর্যায়ে ৯৩ রানের মাথায় ৫ উইকেট হারিয়ে বসে লঙ্কানরা। ওলি স্টোনের পরপর দুই ওভারে ফেরেন ম্যাথিউস ও দিনেশ চান্দিমাল (০)। ম্যাথিউস ক্যাচ দেন স্লিপে, চান্দিমাল হন এলবিডব্লিউ। এর মাঝে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা নিশাঙ্কাকে ফিরিয়ে প্রথম উইকেটের দেখা পান অভিষিক্ত দীর্ঘদেহী বাঁ-হাতি পেসার জশ হাল। কাভারে চমৎকার ক্যাচ নেন ওকস। এর আগে ঝোড়ো ইনিংস খেলেন নিশাঙ্কা, ৫১ বলে ৯ চারে তিনি ৬৪ রান করেন।
পরে দিনের বাকি খেলা দারুণভাবে সামলে লঙ্কানদের পথ দেখান সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে ধারাবাহিক মিডল অর্ডার কামিন্দু। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন সফরকারী অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। আলোকস্বল্পতায় খেলা শেষ হওয়ার আগে দুজন মিলে গড়েন ১১৮ রানের জুটি। এর আগে ফিফটি তোলার পথে রেকর্ড গড়েন কামিন্দু। ক্যারিয়ারের প্রথম ৬ টেস্টে তার পঞ্চাশ-ছোঁয়া ইনিংস হলো ৭টি, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সমান ফিফটির রেকর্ড আছে বার্ট সাটক্লিফ, হ্যারি ব্রুক ও সৌদ শাকিলের। এই তালিকায় চূড়ায় আছেন সুনিল গাভাস্কার (৯টি)। দিন শেষে কামিন্দু ৫৪ ও ধনাঞ্জয়া ৬৪ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে প্রথমদিনই সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া ইংলিশ অধিনায়ক ওলি পোপ এদিন টেস্টে নিজের তৃতীয় দেড়শ পূর্ণ করেছেন। যদিও তার বিদায়ের পর দলের আর কেউই হাল ধরতে পারলেন না ব্যাট হাতে। দারুণ বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে সোয়া তিনশ রানে আটকে দিলো শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় দিন ইংলিশদের দুই অঙ্কের ঘর ছুঁয়েছেন কেবল– হ্যারি ব্রুক (১৯), জেমি স্মিথ (১৬) ও ওলি স্টোন (১৫)। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মিলান রত্ননায়েক। এ ছাড়া বিশ্ব ফার্নান্দো, লাহিরু কুমারা ও ধনাঞ্জয়া দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
কার্টেসিঃ ঢাকা পোষ্ট
লন্ডনের দ্য ওভালে তৃতীয় টেস্টে প্রায়দিনই ঝামেলা বাধাচ্ছে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। যার কারণে নির্ধারিত ওভারের অনেকাংশ বাকি থাকতেই দিনের খেলা শেষ করতে হয়। প্রথম দিনের ৪৪ ওভারের পর গতকাল (শনিবার) হয়েছে ৭৫ ওভারের মতো। দ্বিতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২১১ রান। সফরকারীরা পিছিয়ে আছে ১১৪ রানে, হাফসেঞ্চুরি তুলে নেওয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু অপরাজিত রয়েছেন। লঙ্কানদের জন্য এটি হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াই, আগের দুই ম্যাচ হেরে তারা সিরিজ খুইয়েছে।
প্রথম ইনিংসের শেষদিকে ইংলিশদের দ্রুত গুঁড়িয়ে দিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলঙ্কা। ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা জবাবটাও দিচ্ছিলেন ঠিকঠাক। আরেক ওপেনার দিমুথ করুণারত্নেকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম ৬ ওভারে তারা ৩৪ রান তোলে। এরপরই অবশ্য হোঁচট, ক্রিস ওকসের বলে শর্ট ফিল্ডারের হাতে বল দিয়ে অযথা রানের ঝুঁকি নিতে গিয়ে সরাসরি থ্রোয়ে রানআউট করুণারত্নে (৯)। কুশল মেন্ডিস (১৪) ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসও (৩) ফেরেন স্বল্প সময়ের ব্যবধানে।
একপর্যায়ে ৯৩ রানের মাথায় ৫ উইকেট হারিয়ে বসে লঙ্কানরা। ওলি স্টোনের পরপর দুই ওভারে ফেরেন ম্যাথিউস ও দিনেশ চান্দিমাল (০)। ম্যাথিউস ক্যাচ দেন স্লিপে, চান্দিমাল হন এলবিডব্লিউ। এর মাঝে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা নিশাঙ্কাকে ফিরিয়ে প্রথম উইকেটের দেখা পান অভিষিক্ত দীর্ঘদেহী বাঁ-হাতি পেসার জশ হাল। কাভারে চমৎকার ক্যাচ নেন ওকস। এর আগে ঝোড়ো ইনিংস খেলেন নিশাঙ্কা, ৫১ বলে ৯ চারে তিনি ৬৪ রান করেন।
পরে দিনের বাকি খেলা দারুণভাবে সামলে লঙ্কানদের পথ দেখান সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে ধারাবাহিক মিডল অর্ডার কামিন্দু। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন সফরকারী অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। আলোকস্বল্পতায় খেলা শেষ হওয়ার আগে দুজন মিলে গড়েন ১১৮ রানের জুটি। এর আগে ফিফটি তোলার পথে রেকর্ড গড়েন কামিন্দু। ক্যারিয়ারের প্রথম ৬ টেস্টে তার পঞ্চাশ-ছোঁয়া ইনিংস হলো ৭টি, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সমান ফিফটির রেকর্ড আছে বার্ট সাটক্লিফ, হ্যারি ব্রুক ও সৌদ শাকিলের। এই তালিকায় চূড়ায় আছেন সুনিল গাভাস্কার (৯টি)। দিন শেষে কামিন্দু ৫৪ ও ধনাঞ্জয়া ৬৪ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে প্রথমদিনই সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া ইংলিশ অধিনায়ক ওলি পোপ এদিন টেস্টে নিজের তৃতীয় দেড়শ পূর্ণ করেছেন। যদিও তার বিদায়ের পর দলের আর কেউই হাল ধরতে পারলেন না ব্যাট হাতে। দারুণ বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে সোয়া তিনশ রানে আটকে দিলো শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় দিন ইংলিশদের দুই অঙ্কের ঘর ছুঁয়েছেন কেবল– হ্যারি ব্রুক (১৯), জেমি স্মিথ (১৬) ও ওলি স্টোন (১৫)। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মিলান রত্ননায়েক। এ ছাড়া বিশ্ব ফার্নান্দো, লাহিরু কুমারা ও ধনাঞ্জয়া দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
কার্টেসিঃ ঢাকা পোষ্ট