২৬ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ‘পবিত্র আত্মা উচ্চ সেমিনারীতে’ বাণীঘোষক সেবাদায়িত্ব প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৬ ঘটিকায় “বাণীঘোষক দায়িত্ব প্রতিষ্ঠা প্রার্থীদের” জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। তারপর সকাল ৬:৩০মিনিটে পবিত্র আত্মা উচ্চ সেমিনারী’র গির্জা প্রাঙ্গণ থেকে বাণীঘোষক প্রার্থী, সেমিনারীয়ান, খ্রিস্টভক্ত, ফাদারগণ ও বিশপ মহোদয় শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে খ্রিস্টযাগ শুরু করে। মোট ১৪জন সেমিনারীয়ান বাণীঘোষক সেবাদায়িত্ব লাভ করেন।
বিশপ মহোদয় পাঠের আলোকে উপদেশ বাণীতে বলেন, “যিশুকে বিভিন্ন পদবি নিয়ে ডাকা হয়। যেমন—ত্রাণকর্তা, মুক্তিদাতা, আলোক স্তম্ভ স্বরূপ পদপ্রদর্শক: যিনি আমাদের জীবনে দিশারী হয়ে আসে। অন্যদিকে মেষপালক: যিনি আমাদের পাপের জন্য নিজের প্রাণকে বির্সজন দিয়েছেন। যাতে আমরা তারই জীবন পথে চলতে পারি।
এর পাশাপাশি তিনি চারটি বিষয বাণীঘোষক সেবাদায়িত্ব প্রার্থীদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, প্রথমত: “নবায়ন (Renew): নিজেকে সব সময় নতুনভাবে আবিষ্কার করতে হয়। দ্বিতীয়ত: নম্রতা (Humble): নম্রতা হলো—মানবীয় গুণ। এই নম্রতাগুণ আমাদের জীবনকে নতুনত্বের দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। তৃতীয়ত: ধৈর্য্ (Patience): ধৈর্য্ মানুষকে গুণান্বিত করে এবং সুন্দর মনের মানুষ হিসেবে পরিচয় দেয়। ধৈর্যের মাধ্যমে মানুষ সফলতা লাভ করে। চতুর্থত: সরল জীবনযাপন (Simple Life Style): আমাদের জীবনাচরণের মাধ্যমে, আমরা খ্রিস্টকে অন্যের কাছে প্রচার করি। তাই তোমাদের অন্তরে যেন যিশুর বাণীকে ধারণ করতে পার। তারজন্য নিয়মিত বাণী পাঠ, ধ্যান ও প্রার্থনা আত্মস্থ করতে হবে।
খ্রিস্টযাগে শেষে পবিত্র আত্মা উচ্চ সেমিনারীর পরিচালক ফাদার পল গমেজ বলেন, “আজ মণ্ডলীতে খুশির দিন, আজ ১৪ জন সেমিনারীয়ান ‘বাণীঘোষক’ দায়িত্ব লাভ করেছেন। বাণীঘোষক সেবাদায়িত্ব মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের আহ্বান বা যাজক হওয়ার জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন। শেষে বিশপ পনেন পল কুবি, সিএসসিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং প্রত্যেক বাণীঘোষক সেবাদায়িত্বপ্রাপ্তদের একটি করে ‘পবিত্র বাইবেল’ ও তাদের নিজস্ব ছবি প্রদান করা হয়।
সংবাদদাতা: জের্ভাস মুরমু
সৌজন্যে : সাপ্তাহিক প্রতিবেশী